জন্ম হয়েছে আমার কন্যা সন্তান রূপে। নামটি রেখেছে আমার তনয়া । আমি ছোট্ট বালিকা হলেও, কুমারী থাকতে পারি না দীর্ঘদিন। কনের সাজ সাজতে হয় বয়স আঠারো হলেই। গ্রামে বয়স আঠারো পেরোনোর আগে শুনবে "মেয়েমানুষ হয়েছ, কুমারী থাকা পাপ" নতুবা "এই বেটির বিয়ে হয় নি এখনো” অথবা এইটাও শুনতে পারো "মাইয়াডারে একখান বিয়ে দিতি হইবো"। আজ বাড়ির কাজের মহিলা ঝি নামে নামাঙ্কিত হয়। আচ্ছা তারও তো একটা নাম আছে নন্দিনী। হ্যাঁ আমরা নারী আমরাই পারি আত্মজা হয়ে উঠতে।
চৈতী হাওয়া কবিতা – লেখক কাজী নজরুল ইসলাম
প্রতিদিন এই পৃথিবীতে মোট কতগুলি কবিতা লেখা হয়? সব ভাষা মিলিয়ে মোট কতগুলি? বাংলা ভাষায়? না, এটা কোনো পরীক্ষার প্রশ্ন নয়। সাধারণ প্রশ্নও নয়। কেননা, এই প্রশ্নের কোনো সঠিক উত্তর কারও পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু সাধারণ বুদ্ধিতে অনুমান করা যেতে পারে, সংখ্যাটা বিশাল। আর ঠিক একই প্রাসঙ্গিকতায় বলা যায়, প্রতিদিন কতজন পাঠক-পাঠিকা পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় লিখিত কবিতা পড়েন, তারও কোনো পরিসংখ্যান কেউ কখনও দিতে পারেন না। তবে এই সংখ্যাটাও যে বিপুল, তাও অনুমান করা যেতেই পারে। অথচ যে কোনো কারণেই হোক, একটা প্রচলিত ধারণা আছে যে, কবিতার পাঠক-পাঠিকা নাকি খুবই কম হাতেগোণা।
চৈতী হাওয়া কবিতা
পৃথিবীর যে কোনো ভাষায়। অর্থাৎ কবিতা যত লেখা হয়, তত পড়া হয় না। আর তাই যি তাহলে কিছু প্রশ্ন জাতেই পারে পড়াই যদি না হয় তাহলে এত কবিতা, লেখা হয় কেন, কার জন্য লেখা হয়, সেইসব কবিতার কী পরিণতি হয় ইত্যাদি। কবিতার কমিটির গত সংখ্যা থেকে নিয়মিত কবিতা প্রকাশের পাশাপাশি আমরা একটি কবিতা বিষয়ক প করেছি, 'ব্যক্তিগত কবিতা ভাবনা'। যেখানে আমরা কবিতা সম্পর্কিত আমাদের অনেক প্রশ্ন অনেক সংশয়, অনেক অনভিজ্ঞতা ও অনেক ভুল ভাবনার সঠিক দিশা হয়তো খুঁজে পাব, নিজেদের আরও শিক্ষিত আরও সমৃদ্ধ করে তুলতে পারব। আশা করছি, আমাদের এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে কব এবং উৎসাহী পাঠক-পাঠিকারা তাদের ব্যক্তিগত উদিতা আমাদের কাে পাঠাবেন এবং এই ক্লাজিনের মেরে আসেচনকে আরও কাজী নজরুল ইসলাম।
চৈতী হাওয়া - বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম
চৈতি হাওয়া কবিতা
কাজী নজরুল ইসলামঃ
হারিয়ে গেছ অন্ধকারে-পাইনি খুঁজে আর,
আজকে তোমার আমার মাঝে সপ্ত পারাবার!
আজকে তোমার জন্মদিন
স্মরণ-বেলায় নিদ্রাহীন
হাড়ে ফিরি হারিয়ে যাওয়ার অকূল অন্ধকার!
এই সে হেথাই হারিয়ে গেছে কুড়িয়ে পাওয়া হার!
শূন্য ছিল নিতল দীঘির শীতল কালো জল,
কেন তুমি ফুটলে সেথা ব্যথার নীলোৎপল?
আঁধার দীঘির বাঙলে মুখ,
নিটোল ঢেউ-এর ভাঙলে বুক,
কোন্ পূজারী নিল ছিঁড়ে ছিন্ন তোমার দল
ঢেকেছে আজ কোন দেবতার কোন সে পাষাণ তলে?
অন্তংখ্যার হারামাণিক বোঝাই করা না’
আসছে নিতুই ফিরিয়ে দেওয়ার উপয় পারের গাঁ
ঘাটে আমি রই বসে,
আমার মাণিক কই গো সে।
পারাবারের ঢেউ দোলানী হানছে বুকে ঘা!
আমি খুঁজি ভিড়ের মাঝে চেনা- কমল পা!
বইছে আবার চৈতী হাওয়া গুমরে ওঠে মন,
পেয়েছিলাম এমুনি হাওয়ায় তোমার পরাশন।
তেমনি আবার মহুয়া-মউ
মৌমাছিদের কৃষ্ণ-বঙ
পান ক'রে ওই তুলছে নেশায়, দুহে মঙ্গল বন
সুখি দখিন হাওয়ায় কারন উচাটন!
সময় খুঁজছি, খাবারওয়ালা ছেলেটা খাবার দিয়ে চলে গেলেই গুনগুন বেয়ে সিঁড়ি উঠে যাবে মাঝকুড়োনো তিনতলার ছাদে। ওখানে ছায়া শুকোনো পারবী জ্যোৎস্নায় কিছুক্ষণ, তারপর ঠিক কী যে তা অনুরাধাদি জানে, অনুরাধ্য-আ-আ আ। আমি সুদীপ্তাকে মিলি রঙে খুঁজছি। চল মিলি আসাম যাব না। হাই ছাই রঙা জ্যোৎস্নার টুকরোগুলো জোড়া লাগাতে লাগাতে পুরো একটা গোটা স্বপ্ন হয়ে যাচ্ছে। অণু অণু শব্দের পাশে বাশিও বাজে, বাধাও নাচে। 'ঢ মিলি আসাম যাব না। এখন ঘোর কেটে কেটে স্লাইস করে সাজিয়ে রাখছি। ক্যান্ডেল-লিট ডিনার। “তারপর' শব্দটাকে আর কিছু জিগ্যেস কোরো না।
Also Read: নৌকাযাত্রা কবিতা - লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । সাহিত্য মহল
লেখার ফাঁক থেকে কলম উঠে একটা টিপ এঁকে নিন। এটা রূপলের দোষ। সময় থাকতে গা ছাড়িয়ে নেয় না। বোঝালে বোঝে না নৌকো তো ঘাটে ধাধা পড়েঠে পড়ো, পালের হাওয়া শনশন ডাকছে। তবু এলোচুলে ফুল গৌছে ঘোমটার বালাই নেই। পাড়ে যাওয়ার সময় পেরিয়ে গেলে এ তবী মিসড হয়ে যাবে জন্মের মতো। তাঁরা মিস হয় হোক, পায়ের তোড়ায় নতুন সুর শুনি।
Also Read: আজ সৃষ্টি - সুখের উল্লাসে – কাজী নজরুল ইসলাম | Aj Srishti Sukher Ullase - কবিতা
রহনৌকো ভালোই ভাসে ভালোবাসার জন্য একটু আধটু গেলে ঢবে না। -, কনটিনি থাকলে রিয়ার পানি তোমার ডাক দেবে একদিন স্কুলের ছাল, ক. অগ্নিপরর থেকে টুপ নিয়েছিল কিনা, সেনেই আছে। বোনটা আসলে তো তোমার ফের প্রোফাইল।
Also Read: নারী কবিতা | Nari Kobita – কাজী নজরুল ইসলাম
বলখি আমি অনেক ভেবে সেটা আগে মানু আগের দুটো কন্যা থেকে একটি শিশু আনুন। তাদের থেকেই মারনো আমি তারাই আসল কা তারা তাদের কপাল কাটা। পেটের শিশু রেট মারবো কেমন করে চলতি মা বললো কেঁনে তাই কখনো হয়।