মহাকাব্য কী / মহাকাব্য কাকে বলে? মহাকাব্য কত প্রকার ও কি কি?



মহাকাব্য কী / মহাকাব্য কাকে বলে? 


ইংরেজি 'Epic' শব্দের বাংলা শাব্দিক অর্থ 'মহাকাব্য'। Epic শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ Epos থেকে। যার অর্থ 'শব্দ'।


মহাকাব্য বলতে যে অতিকায় কবিকৃতি বোঝায় এক কথায় তার যথার্থ সংজ্ঞা নির্ধারণ করা অসম্ভব। সুপ্রাচীন এই সাহিত্য সৃষ্টি প্রাচ্যে পাশ্চাত্যে স্বাতন্ত্র্য বিকাশ লাভ করেছিল বলে এর সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্যে ভিন্নতা বিদ্যমান। 

প্রাচ্য তথা সংস্কৃত আদর্শ অনুযায়ী বিশেষ কয়েকটি লক্ষণযুক্ত কাব্যকে মহাকাব্য বলে অভিহিত করা হয়।


  • মহাকাব্যে সর্গ বিভাগ থাকবে এবং তা হবে অষ্টাধিক সর্গযুক্ত। অর্থাৎ সংখ্যা আটের কম হবে না। সর্গ খুব ছোট বা খুব বড় হবে না। সমগ্র সর্গ এক ছন্দে রচিত হবে এবং সর্গান্তে ছন্দের পরিবর্তন ঘটবে। প্রত্যেক সর্গের শেষে পরবর্তী সর্গের বর্ণিতব্য বিষয়ের ইঙ্গিত থাকবে। বিষয়ের নামানুযায়ী সর্গের নামকরণ হবে।
  • আশীর্বাদ, নমস্কার বা বস্তুনির্দেশ দ্বারা মহাকাব্য আরম্ভ হবে।
  • ইতিহাস বা কোনো সত্য ঘটনা নিয়ে মহাকাব্য লেখা হবে।
  • মহাকাব্য থেকে চতুর্বর্গ ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ ফল লাভ হবে। 
  • মহাকাব্যের নায়ক চতুর ও উদার হবেন। নায়ক সদ্বংশজাত, ধীরোদাত্ত ড়ুণ সম্বলিত কোনো ক্ষত্রিয় হবেন। দেবতাও নায়ক হতে পারেন। 
  • মহাকাব্যে চন্দ্রসূর্য উদয়, নগর পর্বত সমুদ্র, জলক্রীড়া, মধুপান, বিপ্রলম্ভ, বিবাহ, যুদ্ধ, মৃত্যু ইত্যাদির বর্ণনা থাকবে।
  • মহাকাব্য অলঙ্কার ও রসভার সম্ভলিত হবে। এই রস শৃঙ্গার, বীর অথবা শান্ত প্রভৃতি এদের যেকোনো একটি প্রাধান্য পাবে।



বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ মহাকাব্যের নাম 'মেঘনাদবধ কাব্য'


মহাকাব্য কত প্রকার ও কি কি? 

মহাকাব্য ২ প্রকার। 
যথা: ১. জাত মহাকাব্য ও ২. সাহিত্যিক মহাকাব্য।


আরও পড়ুন : মেঘনাদবধ কাব্য সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর।


তথ্যসূত্র : বাংলা ইজি প্লাস; অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ।

Post a Comment

1 Comments
  1. মহাকাব্য কি চলিত , সাধু , সংস্কৃত সব ভাষারীতি ব্যবহারেই লিখা যায় ? চলিত ভাষায় মহাকাব্য কি গ্রহণযোগ্য ?

    ReplyDelete