অধিকরণ কারক কী / অধীকরণ কারক কাকে বলে? অধিকরণ কারক কত প্রকার ও কি কি? (বিস্তারিত)
অধিকরণ কারক কী / অধীকরণ কারক কাকে বলে?
অধিকরণ কারকের সংজ্ঞা হচ্ছে, যে স্থানে, যে কালে বা যে বিষয়ে ক্রিয়া সম্পন্ন হয় তাকে ক্রিয়ার আঁধার বলে। এই ক্রিয়ার আধারকেই অধিকরণ কারক বলে।
যেমন : বসন্তে কোকিল ডাকে।
এখানে একটি কালকে নির্দিষ্ট করে বলছে। সেটি হলো বসন্ত কাল। এখন আমরা জানি যে, অধিকরণ কারকে ক্রিয়াকে ' কোথায় বা কখন ' দ্বারা প্রশ্নের উত্তরে অধিকরণ কারক পাওয়া যায়। আমরা যদি এখন উদাহরণটিকে প্রশ্ন করি যে, কখন কোকিল ডাকে? উত্তর আসবে 'বসন্তে'। তাই এখানে বসন্ত হচ্ছে অধিকরণ কারক।
অধিকরণ কারক কত প্রকার ও কি কি?
প্রকারভেদে কিংবা অর্থভেদে অধিকরণ কারক চার (৪) প্রকার। যথা:
১. স্থানাধিকরণ।
২. কালাধিকরণ।
৩. বিষয়াধিকরণ।
৪. ভাবাধিকরণ।
স্থানাধিকরণ কাকে বলে?
যে স্থানে ক্রিয়া সম্পন্ন হয় তাকে স্থানাধিকরণ কারক বলে।
যেমন : জলে কুমির থাকে।
কালাধিকরণ কারক কাকে বলে?
যে কালে ক্রিয়া সম্পন্ন তাকে কালাধিকরণ কারক বলে।
যেমন : শরতে শাপলা ফোটে।
বিষয়াধিকরণ কারক কাকে বলে?
কোনো বিষয়ে দক্ষতা বা অক্ষমতা প্রকাশে ক্রিয়া নিষ্পন্ন হলে তাকে বিষয়াধিকরণ কারক বলে
যেমন : শফিক গণিতে কাঁচা।
ভাবাধিকরণ কারক কাকে বলে?
একটি ক্রিয়া অন্য ক্রিয়ার ওপর নির্ভর করলে নির্ভরশীল ক্রিয়াপদটি ভাববাচকে অধিকরণ হলে তাকে ভাবাধিকরণ কারক বলে।
যেমন : সূর্যদয়ে অন্ধকার দূরীভূত হয়।
আরও পড়ুন : কারক কী / কারক কাকে বলে? কারক কত প্রকার ও কি কি? কারক সহজে মনে রাখার কৌশল