চলিত ভাষা বা চলিতরীতি কি / চলিত ভাষা বা চলিতরীতি কাকে বলে? উদাহরণ দাও



চলিত ভাষা বা চলিতরীতি কি / চলিত ভাষা বা চলিতরীতি কাকে বলে? উদাহরণ দাও


চলিত ভাষা বা চলিতরীতি কি / চলিত ভাষা বা চলিতরীতি কাকে বলে?


চলিত ভাষা সৃষ্টির মূল প্রেরণা ছিল বাংলা ভাষাকে সব ধরনের কৃত্রিমতা থেকে মুক্ত করা। চলিত ভাষার সৃষ্টি হয় ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দের দিকে

চলিত ভাষা বা চলিত রীতি সাধু ভাষার তুলনায় অনেক নবীন বা নতুন। কারন সাধু ভাষা বা সাধুরীতির সৃষ্টি হয় ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে। আর সেখানে চলিত ভাষা বা চলিত ভাষারীতির সৃষ্টি হয় ১৯১৪ খ্রিষ্টব্দে।

চলিতভাষা হচ্ছে মানুষের জীবনঘনিষ্ঠ ভাষা। যে ভাষা মানুষ দৈনন্দিন জীবনে কথা বলতে ব্যবহার করে তাকেই চলিত ভাষা বা চলিতরীতি বলা হয়ে থাকে।

নিচে উদাহরণ দেওয়া হলো:


সাহিত্যের অর্থ যা বুঝি সে হচ্ছে নৈকট্য, অর্থাৎ সম্মিলন।  মানুষ মিলিত হয় নানা প্রয়োজনে, আবার মানুষ মিলিত হয় কেবল মেলারই জন্যে, অর্থাৎ সাহিত্যেরই উদ্দেশে। শাকসবজির খেতের সঙ্গে মানুষের যোগ ফসল-ফলানোর যোগ। ফুলের বাগানের সঙ্গে যোগ সম্পূর্ণ পৃথক জাতের।  সবজি খেতের উদ্দেশ্য খেতের বাইরে, সে হচ্ছে ভোয্যসংগ্রহ। ফুলের বাগানের যে উদ্দেশ্য তাকে এক হিসাবে সাহিত্য বলা যেতে পারে। অর্থাৎ, মন তার সঙ্গে মিলতে চায়- সেখানে গিয়ে বসি, সেখানে বেড়াই, সেখানকার সঙ্গে- যোগে মন খুশি হয়। [ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ; সাহিত্যের তাৎপর্য ]

আরও পড়ুন: সাধু ভাষা কি বা সাধুরীতি কি / সাধু ভাষা কাকে বলে? বা সাধুরীতি কাকে বলে? উদাহরণ দাও

Post a Comment

0 Comments