সাধু ভাষা কি বা সাধুরীতি কি / সাধু ভাষা কাকে বলে? বা সাধুরীতি কাকে বলে? উদাহরণ দাও
সাধু ভাষা কি বা সাধুরীতি কি / সাধু ভাষা কাকে বলে? বা সাধুরীতি কাকে বলে?
সাধু ভাষা বা সাধুরীতির জন্ম হয় ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দের সময়। সে সময় লিখিত ভাবে সাধু ভাষা ছিল আরষ্ট ও কৃত্রিম। কিন্তু মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হওয়া মুখের ভাষা ছিল স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত । বলা হয়ে থাকে, তৎকালীন সময়ে সাধুভাষার সৃষ্টিতে যারা নিয়োজিত ছিলেন তারা বাংলা ভাষী হলেও লোকজ মানুষের ভাষারীতিতে শ্রদ্ধাশীল ছিলেন না। তারা সংস্কৃত বিষয়ে পন্ডিত ছিলেন। ফলে সেই ভাষার আদলে তারা এই ভাষার রীতি তৈরি করেন।
সাধু প্রাঞ্জল হয়ে উঠতে দীর্ঘদিন লেগেছে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরই প্রথম এই কাজ করেন। তাই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে বাংলা সাধুভাষার জনক বলা হয়।
নিচে উদাহরণ দেওয়া হলো:
নদীতে স্নান করিবার সময় রাজদত্ত অঙ্গুরীয় শকুন্তলার অঞ্চলকোণ হইতে সলিলে পতিত হইয়াছিল। পতিত হইবামাত্র এক অতি বৃহৎ রোহিত মৎস্যে, কতিপয় দিবস পর এক ধীবরের জালে পতিত হইল। ধীবর, খন্ড খন্ড বিক্রয় করিবার মানসে, ঐ মৎস্যকে বহু অংশে বিভক্ত করিতে করিতে তদীয় উদরমধ্যে অঙ্গুরীয় দেখিতে পাইল। ঐ অঙ্গুরীয় লইয়া, পরম উল্লাসিত মনে, সে এক মণিকারের আপণে বিক্রয় করিতে গেল। [ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ; শকুন্তলা ]
আরও পড়ুন: চলিত ভাষা বা চলিতরীতি কি / চলিত ভাষা বা চলিতরীতি কাকে বলে? উদাহরণ দাও