পত্র রচনা কি / পত্র রচনা কাকে বলে? পত্র রচনা কত প্রকার ও কি কি? পত্র রচনা লেখার নিয়ম
পত্র রচনা কি / পত্র রচনা কাকে বলে?
আমাদের যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম পত্র বা চিঠি। দূরের মানুষের সাথে চিঠিপত্রের মাধ্যমে সহজে ও স্বল্প খরচে মনের ভাব আদান প্রদান করা যায়। বড়দের মতো ছোটরাও পত্র লিখতে পারে। পত্রের মাধ্যমে বন্ধুদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করা হয়। তা ছাড়া বিদ্যালয়ে বিভিন্ন কারণে প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদন পত্র লিখতে হয়। এজন্য চিঠি পত্র লেখার নিয়মকানুন জানা দরকার।
পত্র রচনা কত প্রকার ও কি কি?
পত্রকে দু ভাগে ভাগ করা হয়। যথা:
১। ব্যাক্তিগত পত্র ও
২। আবেদন পত্র বা দরখাস্ত।
ব্যাক্তিগত পত্র রচনা কি?
মা-বাবা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধবকে ব্যাক্তিগত দরকারে যেসব পত্র লেখা হয় সেগুলোকে ব্যাক্তিগত পত্র রচনা বলে।
আবেদন বা দরখাস্ত রচনা কি?
বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে কিংবা বিশেষ প্রয়োজনে সরকারের বিভিন্ন অফিস ও সংস্থা অথবা বেসরকারি কোনো সংস্থার কর্মকর্তাদের নিকট যেসব পত্র লেখা হয় সেগুলোকে আবেদন পত্র বা দরখাস্ত বলে।
পত্র রচনা লেখার নিয়ম লেখ:
ব্যাক্তিগত পত্র লেখার নিয়ম:
ব্যাক্তিগত পত্রে দুটো অংশ থাকে। যথা:
১। বাইরের অংশ বা শিরোনাম ও
২। ভেতরের অংশ বা পত্রগর্ভ।
শিরোনাম: পত্রের খাম বা পোস্টকার্ডে প্রেরক ( যিনি চিঠি লিখেন ) ও প্রাপকের ( যার উদ্দেশ্য চিঠি লেখা হয় ) নাম ও ঠিকানা লেখা হয়। একেই শিরোনাম বলা হয়। পোস্টকার্ড বা খামের বাম দিকে থাকে প্রেরকের নাম ও ঠিকানা আর ডানদিকে থাকে প্রাপকের নাম ও ঠিকানা।
পত্রগর্ভ: একটি পত্রের বিষয় অনুসারে কয়েকটি ভাগ থাকে। যেমন:-
১। পত্রের উপরে ডানদিকে প্রেরকের ঠিকানা লিখতে হয়। ঠিকানার নিচে পত্র লেখার তারিখ লিখতে হয়।
২। পত্রের বাম দিকে প্রাপকের প্রতি সম্ভাষণ থাকে। বয়স ও সম্পর্ক অনুযায়ী সম্ভাষণের ভাষায় পার্থক্য থাকে। গুরুজনদের উদ্দেশে শ্রদ্ধেয় আব্বা, শ্রদ্ধেয় খালা, শ্রদ্ধাভাজনীয়াষু মা ইত্যাদি লেখা হয়। সমবয়সী বন্ধুদের প্রতি প্রিয় সুমন, প্রীতিভাজনেষু, প্রীতিভাজনাষু, বন্ধুবরেষু ইত্যাদি লেখা হয়।
৩। এরপর আসে পত্রের মূল বক্তব্য। এ অংশে বক্ত্য অনুযায়ী কয়েকটি অনুচ্ছেদে পত্রটিকে বিভক্ত করতে হয়। বক্তব্যের শুরুতে কুশল জিজ্ঞাসা এবং শেষে এবং শেষে সুস্বাস্থ্য কামনা করতে হয়।
৪। বক্তব্যের শেষে সমাপ্তিসূচক শব্দ, যেমন: ইতি, শুভেচ্ছান্তে, সালামান্তে ইত্যাদি লিখতে হয়। তারপর পত্র প্রেরকের নাম লিখতে হয়। অনেকে পত্রের উপরে ঠিক মাঝখানে মঙ্গলসূচক বাক্য লিখে থাকেন। এতে পত্রলেখকের ধর্মবিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটে। যেমন: এলাহি ভরসা, ৭৮৬, শ্রীহরি শরণম ও ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: অনুচ্ছেদ রচনা কি / অনুচ্ছেদ রচনা কাকে বলে? অনুচ্ছেদ রচনা লেখার নিয়ম।