মরণোত্তম উপন্যাস রিভিউ। বই রিভিউ । সাদাত হোসাইনের উপন্যাস রিভিউ।
মরণোত্তম কি? একটা বই? না একটি প্রতিবাদ? আমি বলবো এটি একটি সাইলেন্টলি প্রতিবাদ।
এই প্রতিবাদ কি নিয়ে?
এই প্রতিবাদ একটি জঘন্য সামাজিক সমস্যা নিয়ে। "ধর্ষণ" এই বিষয় টা নিয়ে মানুষ প্রতিবাদ করতে ভয় পায়। আসলে হয়তো আমরা প্রতিবাদী হতে পারি না। কিংবা এই সমাজ এই দেশের কোনো অদৃশ্য শক্তি আমাদের প্রতিবাদী হতে দেয় না।
কারণ এদেশে কোনো অজানা কারণে ধর্ষক ধর্ষণের পর শক্তিশালী হয় অথবা শক্তিশালীরাই ধর্ষণ করে। যাদের বিচার পরবর্তীতে হয়ে ওঠে না। ফলে সমস্যাটা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এই উপন্যাসে প্রতিবাদীর কথাই তুলে ধরেছেন লেখক। আমরা প্রতিবাদ করি কখন? যখন দেখি সমস্যা টা আমাদেরও ভোগাবে। তার আগে তো করি না। কারণটা হলো সমস্যাটা তো আরেকজনের এখানে আমি তার পাশে দাড়িয়ে নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনবো কেন?
খাল কেটে কুমির ডাকার কোনো মানে হয়!
আপনার কি মনে হচ্ছে না ওই কুমির টা যদি আপনার খালে থাকতো আর আপনার পাশে কেউ না থাকে তখন আপনার কি হতো?
মরণোত্তম মানে কি?
যেখানে জীবনের চেয়ে মৃত্যু উত্তম। জীবিত মানুষটির চেয়ে মৃত মানুষটি যেখানে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, সেখানে মরণই তো উত্তম।
এই উপন্যাসের প্রতিবাদী চরিত্র কারা? ওই যে যারা নিজের জীবনকে উৎসর্গ করলো? তাই না?
আজিজ মাস্টার, কোহিনুর। আমার মনে হয় প্রতিবাদ টা শুরু করেছিলো কোহিনুরই তার আত্মহত্যার মাধ্যমে।
মানুষের মূল্য কি এতোই কম যে এক-দুজনের মৃত্যুতে কারোই কিছু যায় আসে না?
মানুষের মূল্য কি এতোই কম যে এক-দুজনের মৃত্যুতে কারোই কিছু যায় আসে না?
এই বইটা নিয়ে আরো ফটোগ্রাফি করার ইচ্ছে আছে আমার।
আসুন আমরা যে যার জায়গা থেকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি৷ রুখে দাঁড়াই। কারণ এই সমাজ টা তো আমাদেরই। তাই আমাদেরকেই এই সমাজকে বিশুদ্ধ করতে হবে।
আমার মনে হচ্ছে এই বইটা ভাইয়ার লেখা সেরা বই গল্পের দিক থেকে। কারণ এই উপন্যাসে মানুষের প্রতিবাদী সত্তাটা জেগে ওঠে। এই বইটাও কেনার জন্য আমি প্রায় পাঁচ বার বাংলাবাজার গেছি। বই হিসেবে বের হওয়ার পর আমিই হয়তো প্রথম পাঠক।
রিভিউ লিখেছেন : তানজিম ইকবাল ইমন।
রিভিউটি লেখকের ফেসবুক ওয়াল হতে সংগৃহীত।
রিভিউগুলো আরো বড় এবং তথ্যবহুল হলে পাঠক উপকৃত হবে।
ReplyDeleteআপনার মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ
Delete