কর্মজীবনঃ স্কুলে শিক্ষকতা, পরে পত্রিকা সম্পাদনা ও লেখালেখি করেছেন ধর্মান্তর। ১৮৪৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯ বছর বয়সে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন | প্রথম কথাঃ ইংরেজিতে রচিত 'দ্য ক্যাপটিভ লেছি' (The Captive Ladie) করা হয়েছে।
ছদ্মনাম টিমোণি পেনপোয়েম (Timothy Penpoem) নামে পরিচিত ছিলেন।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত বিবাহ জীবনঃ প্রথম স্ত্রী রেবেকা শাকটিভিস্ দ্বিতীয় স্ত্রী এমিলিয়া হেনরিয়েটা সোফিয়া। মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাটকঃ শর্মিষ্ঠা (১৮৫৯), প্ৰাবতী (১৮৬০), কৃষ্ণকুমারী (১৮৬১), মায়াকদ (১৮৭৪) কাব্য। তিলোতমাসম্ভব কাব্য (১৮৬০), বুদ্ধাঙ্গনা কাবা, রাঙ্গনা কাব্য (১৮৬২), চতুর্দশপদী কবিতাবলী। মাইকেল মধুসূদন দত্তের মৃত্যুঃ ২৯ জুন ১৮৭৩ সালে কলকাতায় আলিপুর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত আত্ম-বিলাপ' কবিতার বিষয়বস্তু আ' অর্থ নিজ এবং বিলাপ' অর্থ অনুশোচনা/পরিতাপ/নুরুদ্ধ করা। আত্ম বিলাপ" কবিতাটিতে কবি মাইকেল মধুসূদন পরে আত্ম উপলব্ধি বা আত্ৰ অনুশোচনার চরম প্রকাশ ঘটেছে। কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত এ কবিতায় তিনি নিজের জীবনের ব্যর্থতার কারণসমূহ আক্ষেপের সাথে ব্যক্ত করেছেন। আশার ছলনায় ভুগে কবি যে তিন জীবন অভিজতা লাভ করেছেন তা কবিতাটির প্রতিটি পর্তুক্তিতে প্রকাশিত হয়েছে।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনী - সাহিত্য মহল
কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত নিজেকে প্রশ্ন করেছেন মিথ্যা আশার পিছনে ডুঢ়ে, তিনি নিজের জীবনের যে মূল্যবান সময় নষ্ট করেছেন। এখন তিনি মূল্যবান ফিরে পাবেন? রাতে বিদ্যুৎ চমক দিকের আলোকে যেমন কেন, কবিতায় কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তা যেমন পরিবকে অনের আশায় বিচলিত করে তেমনি আশা মানুষের জীবনকে করে। কবিও নিদ্রান্ত মানুষের মতো খ্যাতির লোভে ছুটে রিয়েছেন। বাংলা সাহিত্য ছেড়ে হাবেলিকে সাহিত্য রচনা করেছেন এবং নিজ দেশ ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন পরদেশে।
সাবঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন রোমান্টিক কবি এ জগতে এমন কিছু লোক আছে যারা উপকারীর উপকার স্বীকার করে না। বরং তিনি কবিতায় কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তারা সমান্য উপকার করতে পারলেই উপকৃত ব্যাকর কাছে তার উপকারের কথাটি প্রচার করে বেড়ায়।
সম্প্রসারিত ভাবঃ কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত এ জগতে সকলের সামর্থ্য সমান নয়। শক্তি ও কর্মদক্ষতায় মানুষে মানুষে বিরাট পার্থক্য। কেউ কেউ বিরাট শক্তির অধীশ্বর; ব্যাপক অবদানের মাধ্যমে এ পৃথিবীবাসীর অশেষ কল্যাণ সাধন করেন। কেউ কেউ আবার সীমিত শক্তি নিয়েও জন্মগ্রহন করেন। যাঁরা মহৎ তাঁরা জীব ও জগতের কল্যাণ সাধনে ব্রতী হন। মানুষের কল্যাণে দিঘির জনেই শৈবালের জন্ম। অথচ দিঘির অগাধ জলে এক ফোঁটা শিশির বিন্দু ঢেলে শৈবাল দিঘিকে বলে, সে যেন তার দানের কথা স্মরণ রাখে-ভুলে না যায়। যার জনে শৈবালের জন্ম সামাণ্য কাজের মাধ্যমে উপকার শেষে তারই এমন দম্রাযে মানুষ পরের উপকার করে শৈবানের মতোই তা সদম্ভে প্রচার করতে গর্ববোধ করে, উপবৃতকে অনুক্ষণ স্মরণ করিয়ে দিতে সংকোচ করে না, বুঝতে হবে তার হৃদয়ে মহত্ত্বের স্পর্শ নেই। তারা প্রশংসার কাঙ্গানম নিজেদের ক্ষুদ্রতা ঢেকে রাখতে তারা নিজেদের ঢাক নিজেরাই বাজিয়ে বেড়ান। কিন্তু যাঁরা প্রকৃত উদার মহৎ ও পরের সেবাব্রত বেছে নিয়েছেন; তারা জলেভরা দিঘির মতোই পরিপূর্ণতার আকার, যা তৃষিতের তৃষা নিবারণের জন্য আবিরত। তারা তৃষিতে তৃষা মোচন করে আপনাকে অকাতরে বিলিয়ে দিয়েও শৈবালের মতো কবিতায় কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত সেই দানের হিসেব লিখে রাখতে বলেন না। এখানেই ক্ষুদ্র ও মহৎ প্রানের পার্থক্য।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনী
মন্তব্যঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত মহৎ ও উদার প্রাণের মানুষেরা পরোপকার কখনো পর্ববোধ করেন না। পরোপকারের মাঝেই তারা আত্মতৃপ্তি লাভ করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
Also Read: কুলি-মজুর – কাজী নজরুল ইসলাম - কবি ও কবিতা - সাহিত্য মহল
মাইকেল মধুসূদন দত্ত চীনের মানুষের জীবনের কাহিনী নিয়ে অনেক সহায়তা তৈরি করে মানুষের মাঝে কাজের উদ্যোগ বিচার-বিবেচনা করে মানুষের হাতের দিকে থেকে অনেক কিছু করেছেন। মানুষের দিক থেকে কোন কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং খুব ভালো মনের মানুষ, মানুষের সাথে পরিচিত হবে তিনি বলেন মুহাম্মদ সম্মান লাভ করেছেন মানুষের কাজে মাধ্যমে ফল প্রকাশ করেছে সফলতা লাভ করেন। রাজনীতিমুক্ত পেশাদার হিসেবে তিনি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন রহমান, দাঁড়াও পথিকবর জন্ম যদি তব বঙ্গে তিষ্ঠ অন্ধকারে সমর্থিত জননীর কোলে শিশু। যশোরের সাগরদাঁড়ি কবতক্ষ-তীরে জন্মভূমি জন্মদাতা দত্ত মহামতি আহমেদিনেজাদ অংশ হিসেবে তিনি কবি পরিচিতি লাভ করেন। তাকে বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি ও রোমান্টিক কবি বলা হয় তিনি বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার প্রবর্তক তিনি প্রথম বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক করেন। বাংলা সাহিত্যের প্রথম এবং একমাত্র পথ কাব্য রচয়িতা বাংলা সাহিত্যের সার্থক ট্রাজেডি নাটক রচয়িতা হিসেবে প্রকাশ করেন তিনি মৃত্যুবরণ করেন।