সবুজনগর অঞ্চলের নির্বাচনে ক্ষমতাশালী দলের নেতাকে মোকাবেলা ও পরাজিত করার জন্য ছোট ছোট দল একত্রে হয়। তারা জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা বাসতবায়নের জন্য একটি নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে। জনগণ উক্ত জোটের ওপর সার্বিক আস্হা রেখে তাদের পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে। এর অবশ্যম্ভাবী ফল হিসেবে নির্বাচনে জোটের নেতৃবৃন্দ বিপুল ভোটে জয়ী হন এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতা চরমভাবে পরাজিত হন।
ক. আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রথম সভাপতি কে ছিলেন?
উত্তরঃ মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।
খ. আওয়ামী মুসলিম লীগ গড়ে তোলা হয় কেন?
উত্তরঃ জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী মুসলিম লীগ অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক চেতনর বিশ্বাসী ছিলেন। ফলে ১৯৫৫ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ নাম ধারণ এবং অন্য ধর্মের জন্য এর দরজা খুলে দেওয়া হয়। ১৯৬৬ সালে ছয় দফা বাদ দিয়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ করে এরপর যুদ্ধের সময় চাপের মধ্যে থাকেন তারা এবং কাজের জন্য বৈষম্যমূলক শাসনের আরেকটি সামরিক বৈষম্য।
গ. সবুজনগর অঞ্চলের ছোট দলগুলো স্বাধীনতাপূর্ব কোন নির্বাচন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে একতাবদ্ধ হয়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ মূলনীতি কমিটিতে পূর্ব বাংলার প্রতিনিধি ছিল নগন্য। মূলনীতি কমিটি ১৮ মাস পরে তার সুপারিশ ও প্রতিবেদন পেশ করে। এ কমিটির সুপারিশ পূর্ব বাংলার জনগণকে সব দিক থেকে প্রতিবাদ ওঠে এবং তারা কমিটির সুপারিশকে প্রতিবেদনকে প্রকাশিত হলে পূর্ব বাংলার ব্যাপক উন্নয়ন সংস্থা ন্যাশনাল বুক করা হয়েছে। তারি ভিত্তিতে ১৯৫৬ সালের সংবিধান রচিত হয়। সংবিধান দুই বছর পর্যন্ত কার্যকর ছিল। ১৯৫৮ সালে জেনারেল হাসপাতালে মির্জা সংবিধান অনুযায়ী সেই সাথে সাংবিধানিক শাসনের অবসান ঘটে।
ঘ. ক্ষমতাসীন ও প্রভাবশালী হলেই নির্বাচনে জয়ী হওয়া যায় না ’–পাঠ্যপুস্তকে পঠিত অভিজ্ঞতার আলোকে উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
উত্তরঃ ১৯৪৭ সাল পরবর্তী পূর্ব বাংলার পূর্ব বাংলার শুরু থেকেই আওয়ামী মুসলিম লীগ অসাম্প্রদায়িক বাঙালি মুসলিম লীগ থেকে রক্ষা করতে আমাদের বিভিন্ন সময় তারা কাজ করতে পারবেন। নেতারা পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই মুসলিম লীগ সরকারের উচিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা করে এরপর যুদ্ধের প্রয়োজনে কয়েকটি পরিবার পরিকল্পনা করে আমাদের বসবাস করত। দীর্ঘদিন ধরে মুসলিম লীগ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা মুসলিম লীগ অসাম্প্রদায়িক চেতনার জন্য লোক লাগবে। অপর পরিচয় আবুল হাশিম, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ভবনে আয়োজিত জনসভায় তিনি বলেন খুব বেশি হওয়ার কারণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ রকম একটি তথা বাংলা ভাষা আন্দোলন করে আমাদের বসবাস করার অনুপ্রেরণা জোগায়।