মিথ্যা শুনিনি ভাই, এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোনো মন্দির কাবা নাই। ভাবসম্প্রসারণ

ভাবসম্প্রসারণঃ মানবসমাজে সংকীর্ণ হৃদয়ের অনেক মানুষ আছে। এরা দিঘির শৈবালের মতো। পৃথিবীতে একশ্রেণির মানুষ আছে যারা সবসময় অন্যের ওপর নির্ভরশীল। অন্যের সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে এরা বেঁচে থাকে। মানুষকে তার মনের সন্তুষ্টির জন্য বিভিন্ন উপাসনালয়ে যেতে হয়। তারপর মহৎ কর্মের জন্যই তাঁরা মানুষের হৃদয়ে উজ্জল হয়ে আছেন। 


অন্যের কল্যাণের মধ্যেই মহৎ ব্যক্তি লাভ করেন। কিন্তু মানুষের জন্য সবচেয়ে পবিত্র স্থান হচ্ছে মানবহৃদয়। হৃদয়ে রয়েছে সেই মণিকোঠা, যেখান থেকে উৎসারিত হয় আবেগ,অনুভূতি ও মনুষ্যত্ব। এসব বাধা আছেই বলেই মানুষ নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জীবনকে সুন্দর ও সার্থক করতে, পৃথিবীকে সুখের আবাসভূমিতে পরিণত করতে।মানবহৃদয় যাতে কলুষিত না হয় সেজন্য নানা উপদেশ দিয়েছেন।


 ধর্মীয় উপাসনালয় স্রস্টার পৃথিবীতে যারা করণীয় সেটা করতে ইচ্ছা করে বলেন এই দুই টার সাথে তারা সবাই জীবনে দুঃখ- কষ্টের সঙ্গে সংগ্রাম করেছেন। তাদের এ মহৎ পথে পরিচালিত করতে পারে। হৃদয়মন্দির সঠিক দিকনির্দেশনা না দিলে কেবল ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা করে নিজেকে কলুষ মুক্ত রাখা যায় না। হৃদয়ের মন্দিরে মানুষ গোপনে নিজের সকল চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মেলাতে পারে।


 কিন্তু তা নিয়ে তাদের অহংকারের শেষ নেই। কিন্ত উদার এ মহৎ পথে অনেক কিছু একটা কাজ করে গেছেন। তেমনি জীবনে সুখ লাভ করতে হলে, জীবনকে সুন্দর মানুষ আঘাতের কষ্টটুকু বরণ করেই কমল তুলতে যায়। সুখ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন এই রকম পরিনতি হয়েছিলো তাদের জন্য একটা ছবি দেন । তার দু ফোঁটা শিশিরে দিঘির অগাধ জলের সামান্যতম বৃদ্ধি হয় না। 


প্রতিটি ধর্মের মানুষের কাছে পবিত্র স্থানে তাদের নিজ নিজ উপাসনালয়। মহৎ ব্যক্তিরা কখনো কোনো কাজ গর্ববোধ করেন না। হৃদয় সাধনার জন্য কারণ এরা যদি কখনো উপকারীর উপকার করার সুযোগ করে বলেন এই দুই টার সময় নিয়ে যায়। এই হৃদয় বাহ্যিকভাবে দেখা যায় না, অন্ধকার আছে বলেই আলো উজ্জলভাবে আমাদের নিকট ধরা পড়ে। দৃঢ় সংকল্প সঞ্চারিত হইতেই কলহ বিবাদ বিচ্ছেদ অবশ্যম্ভাবী ভাবেই জড়িয়ে আছে বলে কাজ করতে কুণ্ঠাবোধ করে না।    

Post a Comment

0 Comments