অধিকরণ কারক কত প্রকার ও কি কি | অধিকরণকারক চেনার উপায়

অধিকারণ কর্ক বাংলা ভাষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিন প্রকারের অধিকারীকর্ক: প্রথমিক, দ্বিতিয়োক এবং ত্রিতিয়ক। প্রাথমিক অধিকারীকরণ কারকগুলি বাক্যের বিষয় নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়, অন্যদিকে দ্বিতিয়ক অধিকারন কারকগুলি বস্তু নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়। কর্মের অবস্থান বা সময় নির্দেশ করার জন্য ত্রিতীয় অধিকারীকরণ কারক ব্যবহার করা হয়। বাংলা ভাষায় ব্যাকরণগতভাবে সঠিক বাক্য গঠনের জন্য অধিকার কারকগুলির সঠিক ব্যবহার এবং স্থান নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।



অধিকরণ কারক কত প্রকার ও কি কি

বাংলা ব্যাকরণে, দুটি ধরণের অধিকার (মামলা): কর্তা অধিকার (মনোনীত মামলা) এবং কর্ম অধিকার (অভিযুক্ত মামলা)। কর্তা অধিকার কর্তা বা বাক্যের বিষয়বস্তুকে নির্দেশ করে, যখন কর্ম অধিকার বাক্যটির বস্তুকে নির্দেশ করে। এই দুটি ক্ষেত্রে ছাড়াও, অন্যান্য ক্ষেত্রেও রয়েছে, যেমন ষষ্ঠী অধিকারনা (জেনেটিভ কেস), সম্প্রদান অধিকারনা (ডেটিভ কেস), আপদান অধিকার (অ্যাবলেটিভ কেস) এবং অন্যান্য। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাক্যে নিজস্ব স্বতন্ত্র ব্যবহার এবং কার্যকারিতা রয়েছে। যারা সাবলীল এবং নির্ভুলভাবে বাংলা লিখতে বা বলতে চান তাদের জন্য এই বিষয়গুলো বোঝা অপরিহার্য।


অধিকরণকারক চেনার উপায়

বাংলা ব্যাকরণে, সর্বনাম দুই প্রকার- ব্যক্তিগত সর্বনাম এবং অধিকারী সর্বনাম। অধিকারী সর্বনামকে বাংলায় বলা হয় 'অধিকরণ কারক'। বাংলায় তিন ধরনের অধিকারী সর্বনাম আছে - আমার (আমার), তোমার (তোমার), এবং তার (তার/তাদের)। এই সর্বনামগুলি একটি নির্দিষ্ট বস্তু বা ব্যক্তির মালিকানা বা দখল নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি বলে "আমার বই" (আমার বই), এর মানে হল বইটি তাদের। একইভাবে, "তোমার ছবি" (আপনার ছবি) এর অর্থ হল যে ছবিটি সম্বোধন করা হচ্ছে তারই। অধিকারী সর্বনাম বাংলা ব্যাকরণের একটি অপরিহার্য অংশ এবং দৈনন্দিন কথোপকথনে প্রায়শই ব্যবহৃত হয়।

Post a Comment

0 Comments