বঙ্কিমচন্দ্রের চট্রোপাধ্যায় জীবনী :- সাহিত্য মহল

বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় ছিলেন উনিশ শতকের বাংলা সাহিত্যিক ও সাংবাদিক বাংলা গদ্য ও উপন্যাসের বিকাশের অসীম অবদানের জন্য তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস লাভ করেছেন। থাকে সাধারণত প্রথম আধুনিক বাংলা উপন্যাসিক হিসেবে গণ্য করা হয় তবে গীতার ব্যাখ্যা দাতা হিসেবে সাহিত্য সমালোচক হিসেবে তিনি বিশেষ খ্যাতিমান। তিনি জীবিকার সূত্রে ব্রিটিশ রাজের কর্মকর্তা ছিলেন এবং বাংলা ভাষার আদি সাহিত্য বঙ্গদোষনণের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন তিনি ছদ্ননাম হিসেবে কমলাকান্ত নামটি ব্যবহার করতেন।

বঙ্কিমচন্দ্রের চট্রোপাধ্যায় জীবনী

 

জন্মের তারিখঃ ২৬ জুন ১৮৩৮ কাঁঠালপাড়া চব্বিশপরগনা ১৩ আশার ১২৪৫।

মৃত্য তারিখঃ ৮ এপ্রিল ১৮৯৪ ২৬ শে চৈত্র ১৩০০ কলকাতায়।

বঙ্কিমচন্দ্র উপাধিঃ ১. সাহিত্য সম্রাট ২. ঋষি ৩. বাংলার স্কট ৪. রায় বাহাদুর ৫. সি আই ই ছদ্ননাম কমলাকান্ত রামচন্দ্র।  তিনি বাংলা সাহিত্যর প্রথম সার্থক ঔপন্যাসিক ইংরেজ ঔপন্যাসিক স্যার ওয়াল্টন স্কটের রোমান্স আশ্রয়ী ঐতিহাসিক আদর্শের অনুসারী ছিলেন।




বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় কবিতাঃ সংবাদ প্রভাকর পত্রিকায় ১৮৫২ সালে এই কবিতা প্রকাশিত হয়। ১৮৭৫ সালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় দেশাত্তবোধক সংগীত বন্দে মাতরম রচনা করেন। এটি আনন্দমঠ উপন্যাস রচয়িতা করে থাকেন এই কবি।


বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস

১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধীনে বিএ পরীক্ষার উত্তীর্ণ প্রথম স্নাতকদের মধ্যে তিনি বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় ছিলেন একজন। তিনি পেশায় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন যশোর জেলায় তার পিত মাদবচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় ছিলেন পেশায় একজন ডেপুটি কালেক্টর তার সাহিত্য চর্চার সূচনা হয় সংবাদ প্রভাকর পত্রিকায় মাধ্যমে বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় এর পিত।



বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস কয়টি

বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় এর সম্পাদিত পত্রিকাঃ বঙ্গদর্শন ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। কাব্যগ্রন্থঃ লোলিতা মানস ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে এই কাব্যগ্রন্থ তার লেখার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে থাকে।



বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসঃ দুর্গেশনদিনী ১৮৫৬ এবং কপালকুণ্ডলা ১৮৬৬ মৃণালিনী ১৮৬৯ বিষবৃক্ষ ১৮৭৩ এবং যুগলাঙ্গুরী ১৮৭৪ চন্দ্রশেখর ১৮৭৫ এবং রজনী ১৮৭৭ কৃষ্ণকান্তের উইল ১৮৭৮ তাছাড়া আনন্দমঠ ১৮৮২ রাজসিংহ ১৮৮২ ও দেবী চৌধুরানী  ১৮৮৪ এবং রাধারানী ১৮৭৫ এবং ইন্দিরা ১৯৭৩ ও সীতারাম ১৮৮৭ এবং সর্বশেষ উপন্যাস রাজমোহন ওয়াইফ ১৮৬৪ এই ছিল তার বাংলা উপন্যাস বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় তাছাড়া তিনি ইংরেজি উপন্যাস রচনা করে থাকেন।


বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রবন্ধ গ্রন্থের নাম

ইংরেজি উপন্যাসঃ রাজমোহন ওয়াইফ ১৮৬৪ এটি বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম উপন্যাস হিসেবে প্রকাশিত হয়। এবং ১৮৬৪ সালে ইন্ডিয়ান ফিল্ড নাম একটি সাপ্তাহিকপত্রে প্রথম সার্থক উপন্যাস এর প্রধান চরিত্র জগৎসিংহ আয়েশা তিলোত্তমা বিমলা এবং এটি ছিল বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়ের প্রথম বাংলা উপন্যাস।




বঙ্কিমচন্দ্রের জীবন কাহিনীঃ বঙ্কিমচন্দ্রের চট্রোপাধ্যায়ের আদি নিবাস ছিলো হুগলি জেলায় বেশ মহুল গ্রামে রামহরির পুত্র যাদবচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় তৃতীয় পুত্র মুমকিন্মচন্দ্র মাথা দুর্গাসুন্দরী দেবী বঙ্কিমের পূর্বে তার আরো দুই পুত্রের জন্ম হয়। যারা ছিলেন সেমাচরণ ও সঞ্জীবচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় বঙ্কিময়ের জন্মকালীন সময়ে তিনি শুদ্ধ ও বিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় ডেপুটি কালেক্টর পদে যুগদান করেন। জন্মের পর পর ছয় বছর বয়সে বঙ্কিমচন্দ্র কাঁঠালপাড়াতে অতিবাহিত করেন পাঁচ বছর বয়সে কুলপুরোহিত বিশম্বর ভট্ট্যার্ষের কাছে বঙ্কিমচন্দ্রের হাতে ঘড়ি হয়। 


বাংলা উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান

শিশু বয়সে তার অসামান্য মেধায় পরিচয় পাওয়া যায় বঙ্কিময়ের আপন মানুষ পূর্ণচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় লিখেছেন শুনিয়াছি বঙ্কিমচন্দ্রের এক দিনে বাংলা বর্নমালা আন্ত করিয়াছেন যদি গ্রামের পারে বঙ্কিমচন্দ্র কোনোদিন যান নি। পাঠশালার গুরো মশায় রামপ্রান সরকার বাড়ির তার গ্রহঃশিক্ষক নিযুক্ত হন বঙ্কিমচন্দ্রের রচনা দেখে মনে হয় তিনি রামপ্রাণের শিক্ষা থেকে উপকৃত হননি। তিনি লিখেছেন সৌভাগ্য ক্রমে আমরা আট থেকে দশ মাসের মধ্যে মুক্তি লাভ করিয়া মেদিনীপুরে গেলাম ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে বঙ্কিমচন্দ্র পিতার কর্মস্থালে মেদিনীপুরে আখ্যায়িত হন। 



সেখানে তার প্রকৃত শিক্ষার সূচনা হয় মেদিনীপুরে ইংরেজি স্কুলে প্রধান শিক্ষক এখানে তিনি কিছুদিনের মধ্যে তার মেধা দেখে সবাই মুগ্দ্ধ হয়ে যান ইংরেজ স্কুলের শিক্ষক বলেন বঙ্কিমচন্দ্রের অনেক মেধা আছে তিনি একদিন এই দেশের নামকরা কবি হিসেবে আখ্যায়িত প্রধান করা হবে। 

Post a Comment

0 Comments