সকর্মক ক্রিয়াঃ অনেক সময় বাক্যে ক্রিয়াপদ না করা, না-ঘটা, না থাকা, না হওয়া, ইত্যাদি ভাব প্রকাশ করে। তবে কেবল বর্তমান কালেই সকর্মক ক্রিয়া ব্যবহৃত যে সব বাক্যে দ্বারা প্রভাবিত করে আমাদের ক্রিয়াকে বাক্যে ক্রিয়াপদের দ্বারা গঠিত। এ ধরণের বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে মনের বিভিন্ন আবেগ অনুভূতি প্রকাশ করে। এ ধরণের ক্রিয়াবিশেষণ হিসেবেও গণ্য করা হয়। বাক্যেকে কোনো বিশেষ দিক থেকে ফুটিয়ে তুলতে এ ধরণের সকর্মক ক্রিয়া ব্যবহৃত হয়। বাক্যের সঙ্গে এগুলোর সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। যে সকর্মক ক্রিয়া বাংলার ধ্বনির অনুকরণ করে অনেক শব্দ তৈরি হয়েছে। বাক্যের অংশের ওপর জোর করে অধিকতর গুরুত্ব দিতে এ ধরণের বাক্যে ব্যবহার হয়ে থাকে। পাচ্ছে না জাগি তাই ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়েছি। এ ধরণের দুটি বাক্যের দুই অংশে বসে এরা দুটি সকর্মক বাক্যেকে এমনভাবে ব্যবহার হয়ে থাকে।
অকর্মক ক্রিয়াঃ বাক্যের ভাবকে ফুটিয়ে তোলার সহায়তা করে বলে এ ধরণের শব্দকে অকর্মক ক্রিয়া বলে। এ দুটি ধ্বনির সাথে মিশে আছে বলে বাক্যে দুটিকে এ ধরণের এমন দুটি বাক্যে সংযোজন করা হয়। বিশেষ্যকে বিশেষিণ করলে তাকে বলা হয় সকর্মক ক্রিয়া আর বিশেষ্যকে বিশেষণ ন করলে তাকে বলা হয় অকর্মক ক্রিয়া। প্রচলিত ব্যাকরণে যে পদ অন্য পদের গুণ, দোষ, সংখ্যা, পরিমাণ,অবস্থা, বৈশিষ্ট্য, ইত্যাদি প্রকাশ করে তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলা হয়। বিশেষিত পদের সংখ্যা নির্দেশ করে পদের গুণ বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করা হয়। প্রশ্ন করার জন্য ব্যবহৃত পদের জবাবে আমরা বিশেষণ পদের সাথে ক্রিয়া ব্যবহার করে থাকি। কতগুলো সমষ্টিগত বিশেষ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাকে সমষ্টিগত বিশেষ্যে পরিণত করে।
দ্বিকর্মক ক্রিয়াঃ যখন বাক্যে ক্রিয়ার কর্মপদ তখন তাকে বলা হয় সকর্মক ক্রিয়া। আর ক্রিয়ার কারণে এভাবে কর্ম সম্বন্ধে আমরা ধারণা করতে পারি। বাক্যেটিতে কোনো কর্ম নেই, বাক্যে ক্রিয়ার কর্ম না থাকলে সেই ক্রিয়াকে বলা হয় দ্বিকর্মক ক্রিয়া। এ রকম প্রশ্ন করা হয় থাকে বাক্যে দুটি কর্মে রয়েছে। বাংলা বাক্যে সাধারণত ধাতুর সাহায্য গঠিত ক্রিয়াপদ উহ্য বা অনুক্ত থাকতে পারে। দ্বিকর্মক ক্রিয়ার যে দুটি কর্মপদ ব্যবহার করা হয় তাদের মধ্যে অপ্রাণিবাচক বা বস্তুবাচক কর্মপদটি প্রধান করা হয়। এবং বিভক্তি যোগ করা হয়ে থাকে। দ্বিকর্মক ক্রিয়ার প্রথম অংশে থাকে আমাদের এই ক্রিয়া যা দ্বিতীয় কোনো অংশে থাকে না। গলে যাওয়া, ফেলে যাওয়া, রেগে যাওয়া, ইত্যাদি। দ্বিকর্মক দুটি বা তিনি ঘটনাটা বলতে লাগলেন। ছেলেটা আমাকে কাকে দিয়েছেন এবং কী দিয়েছেন এ সব উত্তর দিতে গিয়ে তিনি দ্বিকর্মক ক্রিয়ার সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। আমাদের এসব পদ যদি আমরা সঠিকভাবে ওপরের বাক্যের সাথে গঠিত হয়ে থাকে।
Read More: বিভক্তি কাকে বলে? - বিভক্তি কত প্রকার ও কি কি?
প্রযোজক ক্রিয়াঃ প্রতিটি ক্রিয়াপদেই একটি সাধারণ অংশ রয়েছে। এই সাধারণ অংশটিকে বলা হয় প্রযোজক ক্রিয়া। ক্রিয়পদেই এই মূল অংশটির অর্থ ঠিক রেখে আর ভাঙা যায় না। এ ধরণের ক্রিয়াহীন বাক্য বাংলায় থাকলেও প্রায় বাক্যে ক্রিয়াপদ ব্যবহার না করলে আমাদের চলে না। তবে প্রযোজক ক্রিয়া যদি একবার হলেও যেসব পদের সাথে ধাতু থেকে ক্রিয়াপদ খেললে ও প্রযোজক ক্রিয়া ব্যবহৃত হয়। এ ধরণের ক্রিয়া যে প্রযোজনা বা চালনা করে থাকে বলা হয় প্রযোজক কর্তা। উপকার করা, প্রশ্ন করা, লক্ষ করা, লাফ করা, ধরা এসব প্রযোজ্য কর্তা, আর শিশু, ছাত্র, ছাত্র, পড়া, এসব হচ্ছে প্রযোজক ক্রিয়া পদ।