যেকোনো সময় যেকোনো প্রান্ত থেকে বিকাশে তাৎক্ষণিক পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সারদের টাকা প্রয়োজনমতো ব্যাবহারও করতে পারবেন। এ সেবার আওতায় বিকাশ অ্যাপের রেমিট্যান্স আইকন থেকে পেওনিয়ার একাউন্টে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন গ্রাহকরা। যাদের ইতিমধ্যে পেওনিয়ার একাউন্টে আছে তারাও নিজেদের বিকাশ দিয়ে অনলাইন এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।
আশা করছি আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সারদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যাতে কিছু একটা কাজ করতে এতো বেশি দেখা যায় না। পেওনিয়ার হলো একটি আন্তজার্তিক ওপেন ব্যাংক। যেকোনো দেশ থেকে এই ব্যাংকের একাউন্ট খুলে লেনদেন করা যায়। ২০০টিরও বেশি থেকে এতে পেমেন্ট গ্রহণ করা যায়। নতুন এই সেবা চালু হওয়ার প্রতিবাদে পেওনিয়ার থেকে বিকাশে ট্রানজেকশনের জন্য ২ শতাংশ ইনস্টিটিউট ক্যাশব্যাকও দিচ্ছে বিকাশ এর সুবিধা। আজ থেকে ১০ মাস সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সাররা।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে বিকাশ পেমেন্ট এর মাধ্যমে সারা বিশ্ব থেকে ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট গ্রহণ করা যাবে বিকাশে। অনুষ্ঠানে বেসিসের সভাপতি এবং বড় বড় কোম্পানির সাথে জড়িয়ে আছেন। বিশেষ এ সেবা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। গত ১৩ বছর সরকারের বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ ও নীতিসহায়তায় ২০ লাখনতরুন তরুণীর প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে যা আরও সম্প্রসারণের জন্য কাজ করছি আমরা।
বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বাংলাদেশ যে ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরি হয়েছে তার সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়ে বিশ্ববাজারে দেশের বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিংকে আরও শক্তিশালী অবস্থান এ পৌঁছে দেয়ার সুযোগ রয়েছে। রেগুলেটেড পদ্ধতিতে আরও বৃদ্ধি পাবে এবং দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় বেশ কিছু একটা কাজ করতে এতো বেশি টাকা লেনদেন করতে পারেন। এ সেবার আওতায় বিকাশ অ্যাপের রেমিট্যান্স আইকন থেকে পেওনিয়ার একাউন্টে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন গ্রাহকরা। যাদের ইতিমধ্যে পেওনিয়ার একাউন্টে আছে তারাও নিজেদের বিকাশ একাউন্ট এর সঙ্গে সংযুক্ত করে নিতে পারবেন ফ্রিল্যান্সাররা। বাংলাদেশ ব্যাংক এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের কিছু সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ইতি মধ্যে ৫৫টি অনলাইন মার্কেট প্লেসকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। একজন ফ্রিল্যান্সার এসব মার্কেট থেকে সেবা রপ্তানির বিপরীতে ৪ শতাংশ প্রণোদন পাচ্ছেন।
পেওনিয়ার এর রেভিনিউ অফিসার রবার্ট ক্লার্কসন বলেন, পেওনিয়ার এর লক্ষ্য বিশ্বের প্রতিটি মানুষের পাশে থাকতেন এবং এসব দিয়ে দেশকে আরও এগিয় নিতে সহায়তা করবে। অনলাইন আউটসোর্সিং বাংলাদেশ এ বিরাট অর্জন লাভ করেছে। আর এই কাজের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আরও সুন্দরভাবে সবার মাঝে নতুন নতুন যোগাযোগ মাধ্যমে এর সুবিধা থাকার জন্য রেমিট্যান্স প্রবাহকে আরও বৃদ্ধি করবে।
