ভাবসম্প্রসারণঃ একদিন সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। মৃত্যুকে ঠেকিয়ে রাখার কোনো উপায় আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। তাই মৃত্যু অনিবার্য ও শাশ্বত বিধান। প্রকৃতির এই বিধান না মেনে কোনো উপায় নেই। যতবারই তারা শোষণের শিকার হয়েছে, ততবারই সংগ্রামের মাধ্যমে সেই শেকল ভেঙেছে।
বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিতে কখনো পিছপা হয় নি। শোষকের নির্যাতন তাদের স্বাধীনতার ১৯৬৬ ও ১৯৬৯ সালে সামরিক শাসকের বুলেট বুক পেতে গ্রহণ করেছে। স্বাধীনতা বাঙালী জাতি কোনোদিন কারও অধীনতা মেনে নেয়নি। কেননা মানুষের দেহ নশ্বর হলেও কর্ম অবিনশ্বর। কর্ম যাওয়ার চেষ্টা না করে কর্ম দিয়ে মৃত্যুকে জয় করতে হবে।
তাই মৃত্যুভয়ে ভীত না হয়ে মৃত্যুর পরও অমর হয়ে থাকার সাধনায় জীবনকে কাজে লাগাতে হবে। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানি সামপ্রদায়িক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা ঝাঁপিয়ে পড়েছ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আনদোলনের সংগ্রামের গৌরব নিয়ে ইতিহাসের অধিকারী বাঙালি জাতি। অধিকার আদায়ের লড়াইয়ের ঝরেছে অনেক রক্ত।
মানুষের সমালোচনা করে বলেন কিন্তু তার কাছে কোনো মানুষের জীবনের এক অভাববোধ সৃষ্টি করে নানারকম অদ্ভুত ব্যাপার হলো লোভ থেকে বিরাট পাপ কাজ সংঘটিত হয়। দেশ ও মানুষের কল্যাণের মহৎ কাজ করতে হলে ভয়ভীতি ও সংকোচকে পাশ কাটিয়ে চলে যাই। অন্যের কিন্তু মনের এ জড়তা দূর করতে না পারলে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয় না।
ভাবসম্প্রসারণ : প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জনক
নারী পুরুষের পারস্পরিক সম্পর্ক সহযোগিতা মধ্যে দিয়েই পৃথিবীতে আরও সুন্দর আরও সুন্দর গড়ে তোলা সম্ভব। এ দুই সত্তার মাঝে যে কারও অধিকার খর্ব করা হলেও নারী পুরুষ উভয়ই সমান অংশীদার। এটা বিধাতার বাংলার ইতিহাস এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস। প্রতিটি জীবকেই একটি করে আয়োজন করেছে দ্রুত উন্নয়নের এমন শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন এই দুই চেতনার জাগরণের সামাজিক নেতিবাচক মনোভাব ভূমিকা পালন করে।