মধ্যবর্তিনী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প রিভিউ




প্রচ্ছদ: কামরুল ইসলাম
প্রকাশনায়: সত্যকথা প্রকাশ
গল্প: মধ্যবর্তিনী 

মধ্যবর্তিনী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


অর্থ, জশ, খ্যাতি অর্জনের আকাঙ্খা অনেকেরই আছে। তবে সন্তানের আকাঙ্খা সকলেরই আছে। ধনী, গরীব, মধ্যবিত্ত সকলেরই।

দীর্ঘ সংসার জীবনে সন্তানের মুখ দেখেননি নিবারণ। স্ত্রী হরসুন্দরী এ বিষয় নিয়ে নিজেকে খুব তুচ্ছ ভাবতো। এক সময় স্ত্রী নিজ মুখেই স্বামীকে দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য  জানালো। কিন্তু তার স্বামী তা হেসে উরিয়ে দিলো। স্ত্রী নাছোড় বান্দা। সে নিয়মিত তার স্বামীকে দ্বিতীয় বিবাহের জন্য তাগিদ দিতে শুরু করলো। এবং এক সময় সে তাগিদ দেওয়া থামিয়ে দেয়।

ততদিনে স্বামীর মনেও সন্তানলাভের আশা প্রস্ফুটিত হয় এবং দ্বিতীয় বিবাহ করার জন্য আগ্রহ দেখায়।  অবশেষে দ্বিতীয় বিবাহ সম্পন্ন হয় শৈলবালার সাথে।

প্রথম স্ত্রী স্বামীকে অনেক জোড় করত যাতে দ্বিতীয়  স্ত্রীর সাথে থাকে একত্রে কিছু সময় কাটায়।  কিন্তু স্বামীর ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এমন একটা ভাব ধরে যেন সে শৈলবালার দিকে তাকায়ই না।  শেষে স্ত্রী যখন হাল ছেড়ে দেয় তখন হাল ধরে নিবারণ এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে গড়ে উঠে সখ্যতা, গাঢ় প্রেম। ধীরে ধীরে স্বামী নিবারণ প্রথম স্ত্রী হরসুন্দরীর  প্রতি অমনোযোগী হয়ে যায়।

এবং এখান থেকেই শুরু হয় গল্পের মুল কাহিনী। অতি আদর কীভাবে মানুষকে বিপদের প্রতি নিক্ষেপ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সে বিষয়টিই এই মধ্যবর্তিনী গল্পে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

রিভিউ লিখেছেন: ওসমান আলী।

Post a Comment

0 Comments